ডেস্ক নিউজ, দেশ প্রতিদিন ২৪
লাঞ্চের আগে দলকে বিপদে পড়তে দিতে চাননি অভিজ্ঞ মুশফিক। মহাকাব্যিক এক জুটিতে বাংলাদেশ দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তোলেন মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। তাদের রেকর্ড জুটিতে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের নামে লেখে টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ছন্দপতন স্বাগতিকদের। লিটনের ফেরার পর প্রত্যাবর্তন রাঙাতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাইজুল আর খালেদ আহমেদও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। কিন্তু অন্যপ্রান্তে অবিচল মুশফিক।
ঢাকা টেস্টে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে শ্রীলংকার বিপক্ষে ব্যক্তিগত দেড়শ রানের কোটা পার করেছেন মুশফিক। অপরাজিত আছেন ১৭১ রান নিয়ে। সঙ্গে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সঙ্গী হিসেবে শূন্য রানে ব্যাট করছেন এবাদত হোসেন।
অলআউট হওয়ার শঙ্কা মাথায় নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে টাইগাররা।
২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর দলের হাল ধরে মুশফিক-লিটন জুটি। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে দুইজন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন দিনের বাকি ৭৮ ওভার ১ বল। দলকে বিপদমুক্ত করার পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান তারা। প্রথম দিনে তাদের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ থেকে আসে ২৫৩ রান।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে তাদের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। শুরুটাও নেহায়েত মন্দ হয়নি।
তবে ছন্দটা ধরে রাখতে পারলেন না লিটন। টেস্টে প্রথমবারের মতো দেড়শ রানের মাইলফলক ছোঁয়ার দিকে ছুটতে গিয়ে আউট হন ব্যক্তিগত ১৪১ রানে। কাসুন রাজিথার হালকা ভেতরে ঢোকা বল লিটনের ব্যাটের বাইরের কানা নিয়ে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। ক্যাচ দারুণ দক্ষতায় মুঠোয় জমান হাসপাতাল থেকে ফেরা কুশল মেন্ডিস। তাতে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তার ২৭২ রানের জুটি। ২৪৬ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি।
৯৮৭ দিন পর আবার টেস্ট খেলতে নামা মোসাদ্দেক নিজের প্রত্যাবর্তন রাঙাতে পারেননি। রাজিথার ওই ওভারেই অফ স্টাম্পের খানিক বাইরের ডিলিভারিতে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক। শূন্য হাতে সাজ ঘরের পথ ধরেন এই ডানহাতি। এর পর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন মুশফিক।
তাইজুল ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাকে। তবে হঠাৎ অসিথার লাফিয়ে ওঠা বল খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান এই বাঁহাতি। তাইজুলের ৩৭ বলের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি ১৫ রানেই থেমে যায়। আসিথার করা পরের ওভারে একই পথে হাঁটেন লেজের দিকের ব্যাটসম্যান খালেদ আহমেদ। তিনিও খুলতে পারেননি রানের খাতা।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন এবাদত। তাতে ৩০ মিনিট বাড়তি খেলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। এর মধ্যে অবশ্য একবার আউট হয়েছিলেন এবাদত। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দলকে এ যাত্রায় অলআউট হওয়া থেকে বাঁচেন তিনি। প্রথম সেশন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রান নিয়ে বিরতিতে গেছে টাইগাররা।
উপদেষ্টা সম্পাদক
আশরাফুল আলম মানিক
নির্বাহী সম্পাদক
ফরিদুল ইসলাম শিপু
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোঃ মোস্তাক আহমেদ
Leave a Reply