মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মনিরামপুরের রাজগঞ্জে একটি গ্রামে মানুষের মধ্যে আগুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। হঠাৎ অদৃশ্য ভাবে বিচালি গাদা ও খড়ি (লাকড়ি) গাদায় আগুন লেগে যাওয়ায় এ আতঙ্ক শুরু হয়েছে। গেল এক সপ্তাহে মোবারকপুর গ্রামের একটি পাড়ায় ৬ বাড়িতে ৮ বার আগুন লাগার ঘটনায় বিস্মিত এলাকাবাসী। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) আগুন লেগেছে চার বাড়িতে।
স্থানীয়রা বলছেন, গেল শনিবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে হঠাৎ হঠাৎ যেখানে সেখানে আগুন ধরে যাচ্ছে। আর ঘটনাগুলো ঘটছে সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে লোজনের সামনে। হঠাৎ আগুন আর ধোয়া দেখা গেলেও আশপাশে কাউকে দেখা যায়না।
আগুনে বড় ধরণের কোন ক্ষতি হচ্ছেনা। বাড়ির লোকজনই নিভিয়ে ফেলতে পারছেন।
ঘটনাটি অলৌকিক বলে মন্তব্য অনেকের।
মূলত অদৃশ্যভাবে আগুন লাগার ঘটনা শুরু হয়
গত শনিবার সন্ধ্যায় মোবারকপুর গ্রামের খান পাড়ার রমজান আলী খানের খড়ির ও বিচালির গাদায় আগুন লাগা দিয়ে। এরপর রোববার সন্ধ্যায় আবার আগুন লাগে একই পাড়ার আজিজুর রহমানের বাড়ির ঘরের ভিতরে খড়ির গাদায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগুন ধরে আনিছুর খানের ঘরের ভিতরে খড়ির গাদায়। বুধবার দুপুরে সাবেক মেম্বর আমজাদ আলী খানের বিচালি গাদায় আগুন লাগে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আজিজুর খানের বাড়ির পাটকাঠির গাদায় আগুন লাগে। একঘন্টা পর মসজিদের ঈমাম আরশাফ খানের পাটকাঠির গাদায় আগুন লাগে। এ দিন দুপুরে আগুন লাগে মুজহার সরদারের বাড়ির বিচালির গাদায়। আবার বিকেলে আগুন লাগে আনিছুর খানের কাঠের গাদায়।
মোবারকপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, বাড়ি লোকজন বসে আছেন। পিছন ফিরে দেখছেন বিচালি বা খড়ির গাদায় আগুন আর ধোয়া। নিজেরা আবার আগুন নিভিয়ে ফেলছি। আশপাশে কেউ নেই। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে আমাদের বাড়ি সাত বার আর পাশের একজনের বাড়ি একবার আগুল লেগেছে। আমার আব্বা নয় মাস আগে মারা গেছেন। তিনি ধার্মিক ছিলেন। কারো রোগ হলে দোয়া পড়ে ফুঁ দিলে সেরে যেত। তিনি কবিরাজি করতেন। ধারণা হচ্ছে, আব্বা মরে যাওয়ায় জ্বিনেরা এমন করছে।
Leave a Reply